• গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী সকলের জন্য উন্মুক্ত।


  • আমরা আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রশ্নাতীত অর্জন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ধুলো জমা ইতিহাস তুলে আনতে আগ্রহী এবং এ বিষয় নিয়ে সাধ্যমত কাজ করছি।
    গেরিলা ১৯৭১, আমাদের দায়বদ্ধতা আপনাদের প্রতি, বাংলাদেশের প্রতি এবং এ দেশের সকল শহীদ'দের প্রতি যারা জীবনের বিনিময়ে আমাদের রক্ত ঋণের বন্ধনে গেঁথেছেন। আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া বা ইতিহাসের ধুলোর আবরণে লুকিয়ে থাকা সকল বীর'দের গৌরবগাঁথা তুলে আনা।
    গেরিলা ১৯৭১, সকল স্বাধীনতা বিরোধী'দের সার্বিকভাবে ঘৃণা করে। আমরা কোনভাবেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বিরোধী, মানসিক পঙ্গু, ও পাকি পদলেহনকারী ও পরবর্তীকালের পাকি উপজাত অসংজ্ঞায়িত প্রাণীদের এ পাতায় দেখতে চাইনা এবং তারা কোনভাবেই আমাদের এই লাল- সবুজ উদ্যানের কাঙ্ক্ষিতজন না।
    গেরিলা ১৯৭্‌১, একটি খোলা জানালা। আপনারা ইচ্ছে থাকলেই আপনাদের চেনা বা শোনা কোন মুক্তিযোদ্ধা বা সম্পর্কিত ঘটনা আমাদের জানাতে পারেন, এমনকি আপনাদের পাঠানো একটি ছবিও তুলে আনতে পারে স্মৃতির মরচে সরিয়ে এক অজানা অধ্যায়। আপনাদের পাতা এটি, আপনারাই এ পাতার প্রান। এই উন্মুক্ত উদ্যানটির দেখভাল করার দায়িত্বটুকু এককভাবে কারো নয় বরং সকলের।

  • গেরিলা ১৯৭১


    • আমার নামঃ১৯৭১

    • আমার রক্তের রংঃ লাল

    • আমার দৃষ্টিঃ সবুজ

    • আমার মাতৃভাষাঃ ১৯৫২

    • আমার জন্মদিনঃ ২৬শে মার্চ

    • আমার ভালবাসাঃ আমৃত্যু বাঙলাদেশ

শহীদ কবি মেহেরুননেসা

শহীদ কবি মেহেরুননেসা, একাত্তরের অবিশ্বাস্য পৈশাচিকতার শিকারে পরিণত হবার সময় মানুষটি’র বয়স ছিল মাত্র ২৯, জীবনের সূচনাতেই তাঁকে চলে যেতে হয়েছিল মা ও ভাই’দের নিয়ে। জীবন সংগ্রামে তিনি জয়ীই ছিলেন, সে যুদ্ধে তিনি অপরাজেয়। বাবা’র মৃত্যু’র পর পুরো সংসারের দায়িত্ব তাঁর ওপরেই এসেছিল।   ১৪ বছর বয়সে, প্রজাপতির মতো জীবন হবার কথা যার। তাঁকে মুখোমুখি […]

মধুমিতার খোঁজে 

২ এপ্রিল শুক্রবার, ১৯৭১ সাল। এদিন ভোররাতে ঢাকার উপকণ্ঠে জিঞ্জিরায় ঝাঁপিয়ে পরেছিল হিংস্র পাকিস্তানী হার্মাদেরা। আনুমানিক ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ এদিন নির্মমভাবে নিহত হন। অগণিত মানুষের অযুত স্বপ্ন ও ভালোবাসার সমাপ্তি ঘটে এদিন। তেমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা বলছি আজ ৪৯ বছর পর, পুনর্বার স্মরণ করিয়ে দেয়ার অভিপ্রায়ে। ছবির ছোট্ট মানুষটির নাম মধুমিতা মজুমদার […]

বীরগাঁথাঃ শহীদ মতিয়ুর রহমান মল্লিক

‘মা, আমি মিছিলে যাচ্ছি। যদি ফিরে না আসি, তুমি মনে করো তোমার ছেলে বাংলার মানুষের জন্য জীবন দিয়ে গেছে। ইতি— মতিয়ুর রহমান মল্লিক, দশম শ্রেণি, নবকুমার ইনস্টিটিউট।’ পিতা আজহার আলী মল্লিক। ন্যাশনাল ব্যাংক কলোনি, মতিঝিল।’   ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ উৎসর্গকারী এই কিশোরের জন্ম ও মৃত্যুদিন একই। মাত্র ১৬ বছর আগে ঠিক যেদিন (২৪ জানুয়ারি ১৯৫৩) […]

চড়ারহাট গণহত্যা

স্বাধীনতা অর্জনের পথে আমাদের পাড়ি দিতে হয়েছিল সাগর পরিমাণ রক্ত। চড়ারহাট গণহত্যা একাত্তরে পাকিস্তানী অমানুষ ও তাদের দেশীয় সহচরদের হাতে সংঘটিত নির্মম বর্বরতার এক ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। দেশটির নাম বাংলাদেশ, এই দেশ অর্জনে প্রাণ দিয়েছেন ত্রিশ লক্ষাধিক মুক্তিকামী মানুষ। ভুলে যেন না যাই, ভুলে যেতে নেই।   সেদিন রোববার ১০ অক্টোবর ১৯৭১, অবরুদ্ধ বাংলায় পাকিস্তানী […]

গেরিলা অপারেশনঃ ডিআইটি ভবন

সেদিন বৃহস্পতিবার ২৮ অক্টোবর ১৯৭১, ঘড়ির কাঁটায় আনুমানিক বেলা সোয়া একটা। স্বাধীনতা অর্জনে লড়াইরত গেরিলা যোদ্ধারা স্থাপন করেছিলেন অবিশ্বাস্য সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এদিন পরিচালিত হয়েছিল ডিআইটি ভবনে (বর্তমান রাজউক) অবস্থিত তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনের ঢাকা সম্প্রচার কেন্দ্রে দুর্ধর্ষ এক গেরিলা অপারেশন।   প্রকাশ্য দিবালোকে পরিচালিত এ গেরিলা অপারেশন পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাঁদের দেশী-বিদেশী দোসরদের মনোবলে প্রচণ্ড […]

বড়ইতলা গণহত্যা, কিশোরগঞ্জ

১৩ই অক্টোবর ১৯৭১, সেদিন বুধবার। একাত্তরের এই দিন সকাল বেলায় সংঘটিত হয়েছিল আরেকটি হৃদয় বিদারক নৃশংস গণহত্যা। পাকি জল্লাদ বাহিনী কিশোরগঞ্জে অনুপ্রবেশ করেছিল ১৯শে এপ্রিল এবং ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ কিশোরগঞ্জ শহর থেকে বিতাড়িত হয়েছিল।   তাদের নির্মমতার চূড়ান্ত রূপ, এলাকাবাসী  প্রত্যক্ষ করেছিল ১৩ই অক্টোবর। এদিন হত্যা করা হয় আনুমানিক ৪০০  জন নিরীহ গ্রামবাসীকে। তাঁদের হত্যা […]

বধ্যভূমিঃ জগন্নাথ হল

সঠিক সংখ্যাটি আজও নির্ণেয় নয়। আমরা (সম্ভবত) কোনদিনই জানতে পারবোনা একাত্তরের ২৫শে মার্চের কালরাত ও তার পরবর্তীতে ঠিক কতজন শহীদ, ‘জগন্নাথ হলে’র বধ্যভূমিতে মিশে আছেন। যদিও আমরা আবেগবশত ‘গণকবর’ আখ্যা দিয়ে এসেছি আজ ৪৯ বছর। আদৌ কি তা গণকবর ?   নাকি, মানব ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যার শিকার অনির্ণেয় শহীদদের মাটি চাপা দেয়া বোবা ইতিহাস,বধ্যভূমি?   […]

বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সূচনা

  একাত্তরের নভেম্বরে নৌ-বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত বাহিনীর অধীনে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর সূচনা হয়েছিল। সাতক্ষীরা ও খুলনায় পাকিস্তানী বাহিনীর থেকে দখল করে নেয়া ৬ টি ক্ষুদ্র ইঞ্জিনচালিত নৌযান নিয়ে ৯ নভেম্বর মঙ্গলবার ১৯৭১ ‘বঙ্গবন্ধু নৌ বহরে’র উদ্বোধন করা হয়েছিল।   নৌ কমান্ডো এবং বাঙালি নাবিকদের তৎপরতায় সুন্দরবন ও মংলা বন্দরের নিকটবর্তী এলাকা থেকে, সেপ্টেম্বর মাসে বেশকিছু […]

সিরাজ কসাই

কল্পনাতীত নৃশংসতা   ‘বাবারে নড়িসনে, গলাডা বাড়ায়ে দে, তোরও কষ্ট হবে নানে, আমারো হবে নানে’ একাত্তরে বাগেরহাট জেলায় নরক থেকে নেমে এসেছিল একাধিক অমানুষ নরপিশাচ। এদেরই একজন ছিল আকিজউদ্দিন, সে ছিল কুখ্যাত রাজাকার রজ্জব আলীর ‘কিলিং মেশিন’। একাত্তরে নিরপরাধ মুক্তিকামী বাঙালি হত্যায় বাগেরহাটের কুখ্যাত রাজাকার রজ্জব আলী ফকির গুলি না করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই […]

প্রাদেশিক নির্বাচন

স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে ‘প্রাদেশিক নির্বাচন কার্যালয়’ অবস্থিত ছিল (বর্তমান নির্বাচন কমিশন) ঢাকার শান্তিনগর এলাকার মোমেনবাগের দু’টি ভাড়া করা বাড়িতে। এর একটি বাড়ির মালিক ছিল, জিয়া মন্ত্রীসভার খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মোমেন খান (তিনি সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ড. আব্দুল মঈন খানের বাবা।) পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যেসব জাতীয় সংসদ সদস্য ও প্রাদেশিক […]